সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৩

কোটা প্রথা-শোষণ-সংগ্রাম

কোটা প্রথা বাতিলের আন্দোলনটা আসলে আমাদের চিত্তের সংগ্রামী চেতনা,ইতিহাসের অনির্বাণ দৃষ্টান্ত। আসলে আমাদের ইতিহাসের সব আন্দোলনই এই কোটার বিপরীতে। হয়তো আজকের কোটাটি চাকরির অধিকার সম্বন্ধীয়, আর ১৮৫৭, ১৯০৫, ১৯২৬, ১৯৪৭, ১৯৫২, ১৯৬২,১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০, ২০০৭ সব গুলো সংগ্রাম ছিল সুবিধাবাদীদের বিরুদ্ধে , অস্বাভাবিক বৈষম্মের বিরুদ্ধে, অধিকার প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে।

প্রশ্নটা হলো-সরকার ব্রিটিশ, পাকিস্তানী বা বাংলাদেশী যত রকমেরই হোক না কেন স্বার্থ-ক্ষমতা-শোষণ-গদি এসব কিন্তু যুগ যুগ ধরেই অভিন্ন।তাই আমাদের মতো নিপীড়িতের স্বীয় অধিকার প্রতিষ্ঠায় বার বার সংগ্রামী হয়ে ওঠাটাও ঐতিহাসিক শৌর্য। জানিনা এখন আবার আমরা সবাই কেন অনেকটা নিভে নিভে গেলাম। মিডিয়াতেও এখন আর এ বিষয় নিয়ে কোনো সারা-শব্দ নেই।

ঘুরে দাঁড়ানোটা সময়ের দাবী। যদি এখন কেউ আবার ফলাফল শিটে নিজের নাম খুঁজে পেয়ে ঐতিহাসিক মিরজাফরিও বা গোলাম আজমিও চেতনায় ভর করে আন্দোলনের প্রকৃত দাবী ভুলে গিয়ে রিটেনের প্রিপারেসনের নামে আত্মস্বার্থে নিমগ্ন হন তবে আমাদের বিবেক মুখ থুবড়ে পরবে। আমাদের চেতনার মেরুদণ্ড ভঙ্গুর হয়ে যাবে।

অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা আবশ্যক সত্যি, তবে সেটা ৫৫ঃ৪৫ নয় অথবা প্রহসনের ৫০ঃ ৫০ ও নয়। যদি পিছিয়ে পরার বিচারেই চিন্তা করতে হয় তবে তো আমাদের ১০০% কোটা থাকা উচিৎ ছিল। যুগ যুগ ধরেই আমরা পশ্চাৎপদ। কোটা সিস্টেম কখনই ৩০% এর বেশী থাকতে পারে না। বর্তমানে যারা কোটা সুবিধায় আছেন তারা অবশ্যই সেটা পাবার অধিকার রাখেন তবে
অনুপাতটা কমানো জুরুরি।

আমরা যারা বৈষম্মের পতন চাই তাদের ব্যক্তিস্বার্থ ত্যাগ করে একসুত্রে থেকে আত্ম অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের মিছিলে সমস্বরে শ্লোগান তোলা, হাতে হাত রেখে সংগ্রামী দৃষ্টিভঙ্গিতে অবিচল থাকাটা আবশ্যক।আমরা আশ্বাস দেবো ভবিষ্যতকে-
" পরশু ভোর ঠিক আসবে- সেই আশাবাদ তুমি ভুলনা"

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৩

জেইউডিওঃ আমার অস্তিত্ব

একটা সংগঠনকে গড়ার চেয়ে চালিয়ে নেয়া কঠিন। স্বীয় কৃতিত্ব একারনেই দাবী করবো আমার জেইউডিও আমার হাতে গড়া না হলেও হীম, আমি, মেহেদী, সিউল, তানজিল , সুজন ভাই এই জেইউডিও কে এগিয়ে নিয়েছি সাধ্য মতো।তবে এর জন্য কোনো ফিড ব্যাক চাই নি, চাই না। এখনো আত্মপ্রত্যয় আছে বলে বলছি- আমার জেইউডিও থাকবে সেই দিন পর্যন্ত যেইদিন হয়তো আমাদের অস্থিমজ্জা মিশে যাবে মাটির মাঝে। ভালোবাসার প্রগাঢ়তা থেকে স্পর্ধা করছি এইভাবে 'নিমেষে ধ্বংস করবো তাকে যে আমার সংগঠনকে ধ্বংস করতে চাইবে'।

আমি জানি, তোমরা যারা এখন আছো তারা হয়তো আমার চেয়েও সংগঠনকে বেশী ভালোবাসো। তোমাদের ভালোবাসা না থাকলে হয়তো অনেক আগেই গতিতে মন্থরতা আসতো। কোনো অনুযোগ নয় আজ। একটা দাবী তোমাদের প্রতি- প্লিজ ফিরিয়ে আনোসেই আড্ডা, সেই সার্কেল, সেই মায়াময়তা।হোক না মুখগুলি ভিন্ন। সময়ের ঢেউয়ে হারিয়ে গেলেও তোমাদের মুখ দেখে নিজের অতীতকে হাতড়ে বেড়াতে পারবো। প্লিজ, আমার তোমরা একপ্রাণ হও। আমাদের পরিবাদের সবাই আমার প্রানোচ্ছাসে ভাসবো।

আমি জানি, আমরা পারবো। জেইউডিও আমাদের অস্তিত্বের ভিত। আমাদের পারতেই হবে। মননের তানে, ভালোবাসার টানে। আবার জমবে মেলা। জমানোর ভার তোমাদের দিলাম। আমার বিশ্বাস তোমরা পারবেই। ২৯ থেকে ৪২ সবাই এক পরিবারের বন্ধনে বাঁচবো আজীবন।

জেইউডিও দীর্ঘজীবী হোক, জয় হোক বিতর্কের। জয় বাংলা।