সত্যিকার
প্রগতিশীলতাকে যাহারা অবান্তর আর নির্লজ্জ কিছু মানসিকতা পোষণ করিয়া
নিজদিগের সুবিধাজনক অবস্থা সৃষ্টি করিতে মিথ্যা আর ভ্রান্ত গ্লানি ছড়াইতে
প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছেন, উহারা আদৌ কি প্রগতিশীল সংস্কৃতিকে বক্ষে ধারণ
করেন কিনা তাহা লইয়া আমার বড় সংশয়। উহাদের স্মরণে রাখা উচিৎ যে মিথ্যা
প্রচার দ্বারা মননশীলতাকে প্রতিহত করা বড়ই দুঃসাধ্য।শুধুমাত্র গঞ্জিকা সেবন
করিয়া উহার বিকট ধোঁয়া উড়াইয়া তাহারা যেই শিল্পের বুদবুদ ওড়ান আর যেই
তথাকথিত প্রগতিশীল মানসিকতার বুলি আওড়ান তাহা কেবন ভণ্ডামি
আর নির্লজ্জতারই অপর নাম।উহাদিগের মনে রাখা আবশ্যক যে ইহাতে সত্যিকারের
শিল্পীর মান হ্রাস হয় না বরং শিল্প , সংস্কৃতি, সমৃদ্ধি, অসাম্প্রদায়িক
চেতনাকে খর্ব করা যাইবে না।
সত্যিকারের যোদ্ধা মহাযুদ্ধ জয়
করিয়াও যেই উল্লাস করেন না, নিন্দুকেরা নিন্দা করিয়া তাহার চেয়ে বেশী
উল্লাস করে। নিন্দুকেরা ওই যোদ্ধার বিজয়ে ক্ষুব্ধ হইয়া যুদ্ধ কৌশল নিয়া
ভ্রান্তি ছরাইলেও বীজয়ের চেতনা তাহাতে ম্লান হয়না।সত্যের যোদ্ধা সব সময়ই
শিল্পের বিনির্মাণে, অসাম্প্রদায়িক চেতনায়, মননের স্পৃহায় অগ্রপথিক। উহাদের
প্রতিরোধ করিতে হইলে তাহা মেধা দিয়ে করাতাই ভালো। তাহলে উহাদেরকে আর
নিন্দুকেরা প্রতিদ্বন্দ্বী না ভাবিয়া গুরু হিসেবে মান্য করিবেন কারণ উহারা
শিল্পকে রাঙায় মেধার সপ্তবর্ণে। যাহারা ভ্রান্তির বানী ছড়াইতে বদ্ধ পরিকর
তাহাদের প্রতি আবেদন- শিল্পের মান রক্ষায় প্রয়োজন মেধা আর মনন। গঞ্জিকার
ধোঁয়া উহাকে কলুষিতই করিবে, উন্নয়ন আনিবে না।
মেধার লড়াইয়ে ভ্রান্তি আর গঞ্জিকার আগমন অনাহূত। বিষয়টা স্মরণে রাখাটা চেতনার জন্য মঙ্গলকর।
শিল্পের জয় হোক, জয় বাংলা।