সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৩

নতুন কিছু বলবো না। তবে উপলব্ধিটা হলো বর্তমান বিতার্কিকদের পড়াশোনার মান একেবারে কমে গেছে। তাই বাকপটুতা থাকলেও বিষয় সংশ্লিষ্ট জ্ঞান অনেক কম। এটা মোটেই কাম্য নয়। ৫/৬ তা ডিবেট করলেই ৫ মিনিট অবিচ্ছিন্ন ভাবে কথা বলা যায়।তবে তাতেই একজন বিতার্কিকের পারদর্শিতার সবটুকু হয়ে যায় না। আমি জানিনা প্রতিযোগিতা বাদে কতজন বিতার্কিক তাদের রুমে বাংলা বা ইংরেজি পত্রিকা কিংবা কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স রাখেন। আপনাদের ল্যাপটপ ভিত্তিক ইন্টারনেট যুক্ত জ্ঞান অন্বেষণ বিতর্কে কতটুকু কাজে লাগছে কিংবা আপনারা কাজে লাগাচ্ছেন কিনা আমি সন্দিহান।

শুরু থেকেই বিতার্কিকদের বারোয়ারী বিতর্কের প্রতি গুরুত্ব দিতে বলেছি। অথচ আপনারা বর্তমান বিতার্কিকরা বারোয়ারীকে কেউ হয়তো বিতর্কই মনে করেন না, আবার কারো কারো একটা কথা স্টাইলের মতো হয়ে গেছে "ভাই, বারোয়ারী আমার ঠিক আসে না"। অবাক লাগে সত্যি। আর বার বার বিতর্কে আপনাদের পরাজয়গুলো হজম করতে কষ্ট হচ্ছে। ৩ বছর আগে যেই টীম আমাদের কাছে ১০০ মার্কের ব্যবধানে হারতো, আজ অনবরত তারা আপনাদের সাথে জয়লাভ করে যাচ্ছে।

আপনারা বিতার্কিক। আমার কথায় ভুল হলে মার্জনা করবেন। শুধু মাত্র ব্যাচের প্রাধান্য দিতে হবে বলে সিনিয়রদের নিয়ে টীম গঠন, নয়তো তারা সংগঠনের প্রতি রুষ্ট হবে- এই ভীতি থাকলে সংগঠন চালানোর আর কি দরকার। এতে সাংগঠনিক ভিত দুর্বল হয়ে যায়। সংগঠন হয়ে যায় ব্যাক্তিস্বার্থ কেন্দ্রিক। মাফ চাই আপনাদের কাছে। প্লিজ, কাউকে অযাচিত মূল্যায়ন করে , তোষামোদ করে সংগঠন চালানোর চেয়ে এই সংগঠন ছেঁড়ে দিন অথবা শক্ত হাতে সব হঠকারিতা দমন করেন।

তাহলে সংগঠন বাঁচবে, বিতর্ক বাঁচবে।বিতর্কের জয় হোক। জয় বাংলা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন